ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, ক্ষতিগ্রস্তের মামলা

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহকর্ত্রী মরিয়ম আক্তার নয়জনের নাম উল্লেখ করে আজ বুধবার ভোররাতে ডবলমুরিং থানায় এ মামলা করেন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আগ্রাবাদ এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগকর্মীরা অস্ত্র ও ধারালো কিরিচ ব্যবহার করে। এতে জামশেদ নামের এক ছাত্রলীগকর্মী জখম হয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বাদী মরিয়ম বেগম মুক্তা জানান, সন্ত্রাসীরা তাঁর স্বামী সাবেক ছাত্রনেতা আখতারুজ্জামানকে দীর্ঘদিন ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। তাঁকে মেরে ফেলতে অস্ত্র নিয়ে ২০-২৫ জনের সশস্ত্র একটি দল তাঁদের টিনের বাড়ির বেড়া, ঘরের জানালা ভাঙচুর করে বাড়িতে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। ঘটনার সময় পরিবার নিয়ে কোনোমতে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান তাঁরা।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাছ বাবুল, পারভেজ, দাঁতলা সুমন, ভাঙা বাবুল, জামশেদ ওরফে চোরা জামশেদ, কানা কবির, ইমন, সুজন ও জালালের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ খান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। পরে রাত ১২টায় পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনে থানায় ফিরে আসেন তাঁরা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত লাল শার্ট পরিহিত দাঁতলা সুমনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমন গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরা দুজনই সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমর্থক। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এর আগেও আরো কয়েকবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এর রেশ ধরেই গতকাল বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।