ডা. আকরাম হত্যায় সাবেক এমপিসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

যশোরের অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম আলী হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য (জাপা) এম এম আমিন উদ্দিনসহ আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এই রায় দেন। রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এম এম আমিন উদ্দিন ছাড়া অন্য দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন সৈয়দ আলী, শেখ আসাদুল্লাহ, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, গোলাম মাসুদ বাচ্চু, হাবিবুর রহমান, কাজী গোলাম হয়দার ও উষা মোল্লা।
রায় ঘোষণার পর সাবেক সংসদ সদস্য এম এম আমিন উদ্দিন আদালতে বসার জন্য আবেদন করেন। এ সময় আদালত তাঁকে একটি টুলে বসার অনুমতি দেন।
এদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন মামলার চার আসামি আবদুর রশিদ, শরিফুল, সাজ্জাদ ও সজিদ। দুপুরে রায় ঘোষণার সময় খালাস পাওয়া আসামি সজিদ ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক সাংবাদিকদের জানান, ২০০৬ সালে অভয়নগর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করছিলেন ডা. আকরাম আলী। এই বাড়ি নির্মাণকে কেন্দ্র করে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। ধার্য করা চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট রাত ১০টার দিকে উপজেলার লোনী চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আকরাম আলীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নিহতের ভাই ডা. আশরাফ আলী অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার সুকুরঞ্জন সমাদ্দার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল যশোর আদালত থেকে মামলার নথি খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। বিভিন্ন কার্যদিবসে এই মামলার ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ এ রায় দেন আদালত।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম তুষার।