স্পুফিংয়ের সঙ্গে বায়োমেট্রিকের সম্পর্ক নেই : তারানা

মালিকের অজান্তেই তাঁর মোবাইল নম্বর থেকে অন্য একজনের মোবাইলে ফোন করা সম্ভব। স্পুফিং নামক অভিনব এই পদ্ধতি চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হুমকি-ধমকি দিতে অপরাধীরা ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের ফলে মোবাইল ফোনের অপরাধ ব্যাপক হারে কমেছে বলেও আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে দাবি করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের ফলে অবৈধ ভিওআইপি শতকরা ৩৫ ভাগ থেকে ১০ ভাগে এবং সিম রিপ্লেসমেন্ট সংক্রান্ত অভিযোগ প্রায় শূন্যের কোটায় নেমেছে। কমেছে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা। এরপরও মোবাইল ফোনে যেসব অপরাধের ঘটনা ঘটছে এর বেশির ভাগই হচ্ছে কিছু অ্যাপস ও সফটওয়ারের মাধ্যমে। যা বেশ ভাবিয়ে তুলেছে সংশ্লিষ্টদের।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, স্পুফিংয়ের সঙ্গে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই। এটি কম্পিউটারে জেনারেট করা হয় নম্বরটি। অ্যাপস ব্যবহার করে এটি করা হয়। প্রতারকচক্র এই কাজটি করছেন। স্পুফিংয়ের এই নতুন সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে টেকনিক্যালি কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি আমরা দেখব।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার রাশেদ বলেন, ‘সচেতনতা ছাড়া টেকনিক্যালি স্পুফিং বা ইন্টারনেট বেইজড ফোনকলের সন্ত্রাস রোধ করা সম্ভব না।’
তাই মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবি বা হুমকি দিলে উল্টো সেই নম্বরে ফোন করে তা যাচাই করার পরামর্শ প্রতিমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘যখন আপনি কল ব্যাক করবেন তখন আপনি নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে, এটা কোন সিম। যদি ওই ব্যক্তি ফোন ধরে বলে যে, হ্যাঁ আপনি আমাকে চাঁদাবাজির নম্বরটি পাঠান। ওই নম্বরটি দেবেন। ওই নম্বরের ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে দিতে সমর্থ আমরা ১০০ ভাগ। না হলে আপনি বুঝে যাবেন যে, এটা কম্পিউটারে জেনারেটেড, অরিজিনাল মালিক আপনাকে ফোন করেনি। আমার কাজ হচ্ছে, নাগরিককে রক্ষা করা। তিনি যেন কোনো ধরনের ফাঁদে বা প্রতারণার জালে না পড়েন। অপরাধীকে ধরার কাজ হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
ভুয়া পদ্ধতিতে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা কিছু মোবাইল সিম দিয়ে এখনো কিছু অপরাধ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন প্রতিমন্ত্রী। এ ব্যাপারে গ্রাহকদের আরো বেশি সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তারানা হালিম আরো বলেন, আপনার বায়োমেট্রিক ডিভাইসে নিজের নম্বরটি না দেখে আপনি ভেরিফিকেশন করছেন, যার ফলে একটি সিম অতিরিক্ত একটিভ হয়ে যাচ্ছে অথবা আপনি আপনার বায়োমেট্রিক ফেরিভাইড সিমটি আপনি কারো কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন, যেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।