খবর উড়িয়ে দিলেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, লিবিয়া সরকার দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রবেশে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।
আজ রোববার দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অবৈধ অভিবাসন রোধে’ লিবিয়া সরকার দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিষিদ্ধ করেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী তা উড়িয়ে দেন। আজ দুপুরে তিনি নিজ কার্যালয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘বৈধ পথে যাওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের লিবিয়া প্রবেশের ব্যাপারে দেশটির সরকার কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে যারা অবৈধ পথে লিবিয়া যাবে তাদের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেছে সে দেশের সরকার।’
সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে সমুদ্র পথে মানব পাচারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো লিবিয়া সরকার এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে ধারণা করেন প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের মুখপাত্র হাতেম উরাইবি রয়টার্সকে বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের লিবিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘তারা (বাংলাদেশি) লিবিয়ার খামারগুলোতে কাজ করতে আসে। কিন্তু এর পর অবৈধ পথে ইউরোপে যায়। এ নিষেধাজ্ঞা অবৈধ অভিবাসন রোধে সরকারের প্রচেষ্টার অংশ।’
বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উরাইবি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এ নিষেধাজ্ঞা লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। ওই অঞ্চলের স্থলসীমান্ত, সমুদ্র ও বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রবেশ করতে পারবে না।
২০১১ সালে বিদ্রোহীদের হাতে মুয়াম্মার গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর থেকে লিবিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। সেখানকার রাজধানী ত্রিপোলি দখলে নিয়েছে একটি গোষ্ঠী। দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখলে আছে ক্ষমতাসীনরা। দেশটি বর্তমানে পাচারকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গত মাসে নৌকায় চড়ে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে পাড়ি দেওয়ার সময় লিবিয়ার উপকূলে নয় শতাধিক লোক নিহত হয়।