শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার, চবির সুবর্ণজয়ন্তীতে স্পিকার

দেশের সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন বিভাগ, যা ভবিষ্যতে ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন দ্বার উন্মুক্ত করে দেবে।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্পিকার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থিত সবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠও মেলান তিনি।
সামগ্রিক পরিকল্পনায় শিক্ষাকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। বাস্তবসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা সুসংহত করার মধ্য দিয়ে আগামী দিনের পথ রচনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাবে বলে আশাবাদ তাঁর।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান বলেন, দেশে এখন উচ্চশিক্ষিতের চাহিদার চেয়ে উচ্চশিক্ষার চাহিদা বেশি। যতই নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হোক না কেন, উচ্চশিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রসংখ্যাও সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পাবে। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্যান-ধারণা পরিত্যাগ করতে হবে- তিনি এমন ব্যবস্থার পক্ষপাতি নন বলে জানান। তিনি নির্বাচিত ছাত্র সংসদের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ও অধ্যয়নের কঠোরতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফল সন্তোষজনক থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতির অভাবকে আদতে মানের অভাব বলেও মন্তব্য করেন ড. আনিসুজ্জামান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৫০ বছর পূর্তির এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য ওয়াশেকা আয়েশা খান, সাবিহা মুছা, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এ জে এম নুরুউদ্দিন চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, শিক্ষক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকালে রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টের আয়োজন করা হয়।