আ. লীগের একটাই মিশন তারেক রহমানের বদনাম করা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ যুক্তি দিয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা খণ্ডাতে পারে না বলেই মামলা দেয় এবং কোর্ট থেকে রায় নিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ করেছে। আওয়ামী লীগের একটাই মিশন তারেক রহমানের বদনাম করা।
বগুড়ায় জেলা বিএনপি আয়োজিত তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিনের উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় শহরের টিএমএসএস অডিটোরিয়ামে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এর আগে সেখানে প্রধান অতিথি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে তারেক রহমানের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ (চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে) তারেক রহমানকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করে। তারা বহু আগেই জেনে গেছে তাদের শত্রুর জন্ম হয়ে গেছে। তাদের মূল প্রতিপক্ষের জন্ম হয়ে গেছে এবং তার নাম তারেক রহমান। তারা বুঝতে পেরেছে তারেক রহমান যদি কাজ করতে পারে তাহলে আর কোনোদিন জেতার উপায় নাই। শুরু করল খেলা, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে। একদম কনসালট্যান্ট ওয়েতে। সবাই মিলে তারেক রহমানের সমালোচনা করে। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী থেকে শুরু করে সব নেতা, তাদের জোটের নেতারা, তাদের পক্ষে যারা বুদ্ধিজীবী, তাদের পক্ষে যারা লেখক, সবাইকে নিয়ে তাঁরা নেমে গেলেন, একটাই মিশন তারেক রহমানের বদনাম করতে হবে। তারেক রহমান দুর্নীতি করছে, তারেক রহমান অনাচার করছে, তারেক রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করছে ক্রমাগতভাবে বলতেছে এবং তাঁদের পক্ষের দুই একটা মিডিয়াও এই ব্যাপারে তাঁদের সহযোগিতা করে। কিন্তু তারেক রহমান সাহেব প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ দিলেন এই যে, আপনারা বলছেন, আমি এটা করছি, ওইটা করছি, আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি যে আপনারা একটা প্রমাণ করতে পারেন আমি যে কোনো শাস্তি নিতে রাজি আছি। কিন্তু তাঁর চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগ গ্রহণ করে নাই। কারণ তারা জানত তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব বলছে। এর কোনো বাস্তবতা নাই। আর আজকের দিনে আমরা বলতে পারি, ওই অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর, তারপর আওয়ামী লীগ সরকারের সাত বছর এই নয় বছরে চেষ্টা করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নয়টা টাকার অভিযোগও প্রমাণ করতে পারে নাই। এখন তো প্রমাণিত এটা যে তারা যেসব কথা বলেছে, এসব কথার ভিত্তি নাই, মিথ্যা কথা।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তারেক রহমানকে অনেকে সহযোগিতা করেছেন, সেই সহযোগিতা নিয়ে তারেক রহমান দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। তারেক রহমান দেশের মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। তাঁর নিজের জীবনযাপন ছিল সাধারণ। একটা হাফ শার্ট। একটা প্যান্ট। আরেকটা পাম্প শ্যু। এর বেশি তো দেখি নাই তাকে আমরা।’
‘ওরা (আওয়ামী লীগ) যুক্তি দিয়ে তারেক রহমানের অফার খণ্ডন করতে পারে নাই। তারা মামলা করে তারেক রহমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়। তারা মামলা কইরা রায় নিয়ে আসে যে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য বাংলাদেশের রেডিও, টেলিভিশনে প্রচার করা যাবে না, কোনো পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করা যাবে না। আজকে তারা ক্ষমতায়। তারা তো ভালো জানে ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তাদের কোনো নেতাই বাইরে ছিল না, সব ছিল কারাগারে। অসংখ্য মামলা ছিল। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছিল নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আন্দোলনের মুখে কোনো মামলা টেকে না এবং তাদের ক্ষমতায় যাওয়াও ঠেকিয়ে রাখতে পারে নাই। একইভাবে বিএনপির এত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, এত নেতাকর্মীকে খুন করা, গুম করা, তাদের অঙ্গহানি করা, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা, এর কোনোটাই কোনো কাজে আসবে না, যখন আমরা জনগণকে সংগঠিত করে আন্দোলনের সূচনা করতে পারব যে আন্দোলনে এই অন্যায়-অনাচার, গুম-খুনের যে সংস্কৃতি এই সব ভেসে যাবে ইনশাল্লাহ।’ বলছিলেন নজরুল ইসলাম খান।