মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি

খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের নেতারা সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, অবিলম্বে দেশের সীমান্ত খুলে দিন। শরণার্থী শিবির চালু করুন। মিয়ানমারে নির্যাতিত মুসলমানদের আশ্রয় দিন। অন্যথায় বাংলার মুসলমানরা লংমার্চ করে সীমান্ত খোলার ব্যবস্থা করবে।
বক্তারা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনভুক্ত (ওআইসি) ৫৭টি দেশ থেকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার এবং মিয়ানমারের সঙ্গে সব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানান।
আজ শুক্রবার বিকেলে খুলনা নগরীর ডাকবাংলো চত্বরে অনুষ্ঠিত জেলা ইমাম পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারের প্রতি এসব দাবি জানানো হয়।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন, নির্যাতন, গণহত্যা, গণধর্ষণ ও বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে জেলা ইমাম পরিষদ এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মো. সালেহ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
সমাবেশে আলেম-ওলামারা বলেন, মিয়ানমারে যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, তাতে কোনো মুসলমানই ঘরে বসে থাকতে পারে না। আজ সময় এসেছে জিহাদের। সব মুসলমানের মধ্যে জিহাদের প্রেরণা সৃষ্টি করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বেও কোথাও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানের ওপর হামলা-নির্যাতন হলে বিভিন্ন দেশ কাঁদতে শুরু করে। কিন্তু মুসলিম মরলে কাঁদার কেউ থাকে না।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়া, মুসলিম হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ এবং দেশটির নেত্রী অং সান সু চির নোবেল পুরস্কার বাতিলেরও দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইমাম পরিষদ নেতা মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমি, মাওলানা আ খ ম জাকারিয়া, মাওলানা নাজমুস সউদ, মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা উবায়দুল করিম, মাওলানা আলী আহমাদ, মাওলানা উসমান গনি, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, মুফতি রবিউল ইসলাম রাফি, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা কারামত আলী, মাওলানা মহসিন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ডাকবাংলো মোড় থেকে শুরু হয়ে ফেরিঘাট, পাওয়ার হাউস, শিববাড়ী মোড় দিয়ে নগরীর নিউ মার্কেটসংলগ্ন বায়তুন নূর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয়।