রৌমারীতে ভারত থেকে আসা হাতির পালের হামলা
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী অন্তত ২০ গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে হামলা চালিয়েছে ভারত থেকে আসা বন্য হাতির পাল। গ্রামগুলোর অধিকাংশ মানুষ দুদিন ধরে আগুন জ্বালিয়ে ও ঢাক-ঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছে।
ভারত সীমান্ত এলাকার স্থানীয় একাধিক বাংলাদেশি জানান, ভারতের গারো পাহাড় থেকে ১৫টি বন্য হাতি গত শনিবার রাতের কোনো একসময় সীমান্তের ১০৬৭ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে রৌমারীতে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁটাতারের গেট খুলে দেয়। এর পর থেকে হাতির পাল বাংলাদেশিদের জমির ফসল ও বাড়িঘরের ক্ষতি করে চলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রৌমারী সদর, জাদুরচর ও শৌলমারী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ বন্য হাতির আতঙ্কে দিন পার করছে। এসব এলাকার ফসল ও বসত-বাড়িসহ জানমালের ক্ষতির আশঙ্কায় দুদিন ধরে রাতভর আগুন জ্বালিয়ে ও ঢাক-ঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছে এলাকাবাসী। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। হাতির দলটি সন্ধ্যার পর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ধান, সরিষা, কালাইসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করছে। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বিএসএফকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
হাতির দলটি বর্তমানে শৌলমারী ইউনিয়নের নতুন শৌলমারী গ্রামের সীমান্তে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ গজ অভ্যন্তরে অবস্থান করছে। এতে বসতবাড়ি ও জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমরা হাতির দলটিকে ভারতের পাহাড়ে ফেরত পাঠাতে বিভিন্ন রকমের চেষ্টা করছি। কিন্তু উৎসুক লোকের ভিড়ের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া বন বিভাগ রংপুর রেঞ্জে হাতি তাড়ানোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো লোক না থাকায় নিজেরাই চেষ্টা করছি। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।’
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের বন্য হাতির দলটি যাতে জানমালের ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য আমরা ওই এলাকায় পুলিশ ও চৌকিদার পাঠিয়েছি। তারা সর্বক্ষণ দায়িত্ব পালন করছে।’