চিত্রনায়িকা পরী মণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন আদালত। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে সশরীরে আদালতে এসে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেন বিচারক।

আদালতের সরকারি কোঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরী মণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন– পরী মণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

এজাহারে বলা হয়, পরী মণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না এবং পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান।

২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর পরী মণিসহ ওই তিনজন সাভারের বোট ক্লাবে যান। ক্লাবের দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে, তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরী মণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে পরী মণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরী মণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরী মণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছুঁড়ে মারেন। এতে বাদী মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় পরী মণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দেন এবং বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেন। 

এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরী মণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।