টিকটককে যা বললেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে এবং দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে টিকটক ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে। মন্ত্রী এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটককে ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
টিকটকের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলেনা লার্স ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের সময় মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিনোদনের জন্য ব্যাবহার করে।’ এই মাধ্যমটি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যহারকারীগণ যাতে কাজে লাগাতে পারে, সেজন্যই তিনি শিক্ষামূলক উপাত্ত প্রচারের পাশাপাশি ইতিবাচক কাজে টিকটক ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টিতে ভূমিকা গ্রহণের পরামর্শ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী ১৯৯৯ সাল থেকে শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি এবং এর ফলে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনে নতুন প্রজন্মের অগ্রগতিতে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট মানব সম্পদ তৈরির অংশ হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৬৫০টি স্কুল ও ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আরও এক হাজার প্রতিষ্ঠানে এ ব্যবস্থা চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
টিকটক যাতে শিক্ষামূলক কনটেন্ট প্রচারের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক রীতিনীতির সঙ্গে মানানসই সামাজিক প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সে বিষয়ে টিকটককে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের দুর্গম অঞ্চলসহ সারা দেশে মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ডিজিটাল সংযুক্তি পৌঁছানো হয়েছে। দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় ফোর-জি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির ব্রডব্র্যায়ন্ড সংযোগ পৌছে দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সংযুক্তির সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতায় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যদমসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি দেশের তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।’
হেলেনা লার্স ডিজিটাল সংযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশংসা করেন এবং তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতিসহ সকল রীতিনীতি মেনে টিকটককে গণমানুষের প্রিয় প্লাটফর্মে রূপান্তরে উদ্যোগগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।