শেখ হাসিনা-মোদির বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/09/09/pm_modi.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে কেউ অস্থিতিশীলতা চায় না।’
ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ২০০১ সালের পরের খারাপ সময়ে ফিরে যেতে চায় না, যখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল, সারা দেশে বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং আদালত কক্ষে বিচারকদের ওপর বোমা হামলা হয়েছিল।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত দুই প্রতিবেশী দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে একান্ত বৈঠকে নির্বাচনের বিষয় নিয়ে কথা উঠেছিল কি না, তার জানা নেই।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে দিল্লিতে পৌঁছেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা খুশি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচনে কেউ কারচুপির চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপির দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের সংবিধানে নেই এবং এটা কোনো আলোচনার বিষয় নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করতে সবাইকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে।’
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানি সম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতি এবং মানুষে-মানুষে বন্ধনসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই অঞ্চলের বর্তমান উন্নয়ন এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।