ভিসা নিষেধাজ্ঞায় আমার নাম আছে কি না জানি না : রাঙ্গা

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, আমাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কি-না, তা জানি না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জেনেছি। এই প্রক্রিয়ার বিষয়ে আমি অখুশি না। আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এনটিভি অনলাইনকে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জাপার এই নেতাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে বলা হয়, তিনি বলেছেন, ‘শুনেছি আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি অখুশি না।’
ভিসা নিষেধাজ্ঞায় নাম থাকলে বিষয়টি কীভাবে নেবেন প্রশ্নে রাঙ্গা বলেন, ‘এটা আমেরিকার নিজস্ব বিষয়। তাদের দেশের জন্য তারা তাদের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে, সেখানে আমার নাম আছে কি নেই, তা আমি জানি না। এমন কোনো তথ্য আমাকে জানানো হয়নি।’
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিসা নিষেধাজ্ঞায় আপনার নাম আছে বলে আপনি নিশ্চিত করেছেন, এ প্রসঙ্গে আপনার বক্তব্য কী—জানতে চাইলে জাপার সাবেক এই মহাসচিব বলেন, ‘এটা আমি বলিনি। আমি বলেছি, আপনাদের মাধ্যমেই আমি খবর পেয়েছি, ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানে আমার নাম আছে কি-না, কীভাবে জানব? আর এটিতো ওই দেশটির নিজস্ব বিষয়। তবে, প্রক্রিয়ার বিষয়টিতে আমি অখুশি না।’
গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার কেন ও কাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে, তা তুলে ধরেন। নাম উল্লেখ না করলেও ক্যাটাগরি জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে বলা হয়, গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে দায়ী বলে যারা প্রমাণিত তারা এই ভিসা নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত। শুরু হওয়া প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের বর্তমান এবং সাবেক কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা আছেন।
‘আমাদের আজকের পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনে সমর্থনের জন্য’ উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যারা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায়, তাদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তে দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত হলে তারাও ভবিষ্যতে এই নীতির আওতায় মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।
পরে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানান, গণমাধ্যমও ভবিষ্যতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে র্যাব এবং এর সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে গত ২৭ মে বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।