জনগণের ভোটে নয়, কারচুপিতে পরাজিত হয়েছি : ইনু
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/01/09/kushtia-inu.jpg)
আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি—বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া-২ আসনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক তথ্যমন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুরে উপজেলা জাসদ কার্যালয়ে ভোট পরবর্তী দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে জাসদ সভাপতি এ কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারা দেশে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো আমার এলাকা কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মস্তান বাহিনি ভোটের সাত দিন আগে থেকে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, সেটা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ভোটের দিন ১৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট প্রদান লক্ষ করা গেছে। যা কারচুপির মাধ্যমে করা হয়েছে। প্রতিবাদ করার পরও এবং উপর্যুপরি এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পরও কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
ইনু আরও বলেন, আমি মনে করি, ‘কুষ্টিয়া-২ আসনে আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি। আশা করি এটা সবাই তদন্ত করে দেখবেন এবং এর প্রতিকার ও বিহিত করবেন।’
জোট প্রসঙ্গে ইনু বলেন, নির্বাচনি ঘটনা নিয়ে জোটে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে না। তবে নির্বাচন নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক স্বৃষ্টি হয়েছে সেটা অবশ্যই নিস্পত্তি করতে হবে। একই সঙ্গে জোটের প্রার্থীর এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী স্বতন্ত্রপ্রার্থীর গুণ্ডাবাহিনীর যে আক্রমণ, হুমকি-ধমকি অত্যচার শুরু হয়েছে এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জোটের অভ্যন্তরে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না।
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনুকে (নৌকা মার্কা) হারিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন (ট্রাক প্রতিক) বিজয়ী হন।