নগদ এজেন্টের বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় নগদ এজেন্টের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা গ্রামের ফুল মোহাম্মদ দম্পতি সরকারি ভাতার সুবিধাভোগী। ফুল মোহাম্মদ বয়স্ক ভাতা পান। তার স্ত্রী পান প্রতিবন্ধী ভাতা। ফুল মোহাম্মদ নগদ অ্যাকাউন্টের টাকা তুলতে গিয়েছিলেন আলহেরা টেলিকম নামে এজেন্টের দোকানে। এরপর থেকে কৌশলে তার ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেন এজেন্ট জুয়েল আরমানের ভাই সুমন হোসেন। এক মাস ধরে এর প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে গত ২৬ জুন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ করেন তিনি। এরপর টনক নড়ে সবার।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাজীব আহম্মেদ জানান, ফুল মোহাম্মদের নগদ অ্যাউন্ট থেকে গত ২৮ মে দুটি ট্রানজেকশন হয়। একটি বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে তার নগদ আকাউন্ট থেকে আলহেরার নগদ উদ্যোক্তার অ্যাকাউন্টে এক হাজার ৮১৪ টাকা ১৯ পয়সা এবং পরে ৫টা ১৯ মিনিটে একই অ্যাকাউন্টে এক হাজার ৮০০ টাকা ক্যাশ আউট করা হয়। কিন্তু, সুমন এক হাজার ৮০০ টাকা ভাতাভোগীর হাতে দেন, বাকি এক হাজার ৮১৪ টাকা ১৯ পয়সা তিনি আত্মসাৎ করেন।
রাজীব আহম্মেদ আরও বলেন, ‘ভাতাভোগী ফুল মোহাম্মদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে গিয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে তার সত্যতা পেয়েছি। এ ছাড়া সুমনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ রকম হতদরিদ্রদের টাকা যারা আত্মসাৎ করে তাদের বিচার হবে। আমরা বিষয়টি নগদ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা পদক্ষেপ নিবে বলে আশ্বস্ত করেছে।’
এ বিষয়ে কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীনুর ইসলাম স্বপন মুঠোফোনে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও মৌখিক অনেক অভিযোগ ছিল, কিন্তু প্রমাণ ছিল না। এবার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই সুমনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে আলহেরা মোবাইল টেলিকমে কথা হয় সুমনের সঙ্গে। তিনি বক্তব্য দিতে রাজি নন। একপর্যায়ে গর্ব করে বলেন, ‘আমি এই খাতে খুব দক্ষ। কারও পিন কোডের সমস্যা হলে আমার কাছেই আসে। ফুল মোহাম্মদের আগের টাকা ছিল, সেটা আমার জানা ছিল না। আমি ইচ্ছে করে করিনি, কোনো কারণে হয়তো আমার ভুল হয়েছে।’