জরিমানার ১৬ লাখ টাকা আদালতে পরিশোধ করলেন রাফসান

অনুমোদন ছাড়া ইলেক্ট্রোলাইট (কোমল পানীয়) ব্লু ড্রিংকস বাজারজাতের অভিযোগে করা মামলায় জরিমানার ১৬ লাখ টাকা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে পরিশোধ করেছেন ইউটিউবার ইফতেখার রাফসান ওরফে রাফসান দ্য ছোট ভাই। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালতে জরিমানার এই টাকা পরিশোধ করেন।
এ দিন আদালতে রাফসান জরিমানার টাকা দিয়ে আদালত ভবন ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান।
কামরুল হাসান বলেন, জরিমানার ১৬ লাখ টাকা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে পরিশোধ করেছেন রাফসান। আগামী সাত দিনের মধ্যে কোমল পানীয় ‘ব্লু’ এর যেসব পণ্য বাজারে রয়েছে সেসব মালামাল বাজার থেকে তুলে নেবেন এবং এ ধরনের ব্যবসা তিনি আর করবেন না বলেও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করে গেছেন। এ বিষয়ে আগামী সাত দিন পরে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্যেও বলেছেন আদালত।
এর আগে অনুমোদনহীন ব্লু ড্রিংকস বাজারজাত করায় ইফতেখার রাফসান ওরফে রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ১৩ জুন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর এ আদেশ দেন।
খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হসান এক আবেদনে বলেন, ব্লু-এর কোনো অনুমোদন নেই। এমনকি ওষুধ প্রশাসনও জানে না এসব ওষুধ নাকি পানীয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানিতে উঠে।
জানা গেছে, মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজ, বি-৩৩, বিসিক শিল্পনগরী, আদর্শ সদর, কুমিল্লা; প্রতিষ্ঠানটি মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করে ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক’ পণ্য প্রস্তুত করে আসছিল। এ ছাড়া কারখানায় কোনো পরিমাপ যন্ত্র না থাকায় হাতে করে বোতলজাত করা হচ্ছিল ড্রিংকসগুলো। নিবন্ধন ছাড়াই মোড়কজাত ও বাজারজাত করায় ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন -২০১৮’ এর ৪১ ধারায় ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারহানা নাসরিনের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় অভিযানটি। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল কুমিল্লা নগরীর বিসিক এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ব্লু ড্রিংকস কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। যা গত ১৭ মে নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ইফতেখার রাফসানের ব্লু ড্রিংকস (BLU) তৈরির কারখানায় মানহীনভাবে ব্লু ড্রিংকস তৈরি করা হয়। এ জন্য ওই সময় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।