জাতির পিতা শব্দের বিলুপ্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন এবং স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের শাস্তি দিতে কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। রিটে জাতির পিতা শব্দ বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মুহম্মদ আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। বিষয়টি আজ জানাজানি হয়।
রিটে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪ক বাতিল চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং ২০২৪-এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের চিত্র গণমাধ্যম ও পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাতির পিতা শব্দের বিলুপ্তি চাওয়া হয়েছে ওই রিটে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইনসচিব, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনকারী মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, ‘ব্যক্তি একা কোনো দেশ স্বাধীন করতে পারেন না। তাই জনস্বার্থে ৯৩ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে জাতির জনক বা পিতার স্থলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা তথা ফাউন্ডিং ফাদারদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করতে কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়েছি।’
উল্লেখ্য, সংবিধানের ৪ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল সরকারি ও আধা সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে হবে।