বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মাসুদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের করা মামলায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই নির্দেশ দেন।
গত ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন তাকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মাসুদ বিশ্বাসকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
দুদকের আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা আক্কাস আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর মিরপুর-১০ এর সেনপাড়া পর্বতার বাসা থেকে মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত দুই জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
এজহার থেকে আরও জানা গেছে, মাসুদ বিশ্বাস তাঁর নিজ নামে এক কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজে ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
এছাড়া মাসুদ বিশ্বাসের স্ত্রী কামরুন নাহারের নিজ নামে ৭২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় পৃথক সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়।
ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় এই দম্পতির নামে জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে, যাচাইকালে তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে দুদক। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ ও অর্থপাচারের অভিযোগ পাওয়া পর গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক।
অভিযোগ তদন্তে সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে দলনেতা করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।