এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ আটক ২
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য সংযোজন- বিয়োজনসহ বায়োমেট্রিক জালিয়াতির অভিযোগে গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
তাঁরা হলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলম।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন শাখার উপপরিচালক তকবির আহমদ ও সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসে। রাতে অফিসে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ডাটা এন্টি অপারেটরকে দেখতে পায় তদন্ত কমিটি। তখন নথিপত্রসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট পর্যবেক্ষণ করে তারা দুর্নীতির তথ্য পায়। বিশেষ করে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংযোজন-বিয়োজন এবং বায়োমেট্রিক জালিয়াতির প্রমাণ পায় তদন্তকারী দল। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা পুলিশকে কল দিয়ে অভিযুক্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলমকে তাদের হেফাজতে দেন।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন বলেন, দুজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন, কমিশন থেকে একটি তদন্তকারী দল এসে মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এনআইডি জালিয়াতি ও অনৈতিক কাজের অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে তাদের পুলিশে দেওয়া হয়। মুজিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্তে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।