চাঁদাবাজির ভুয়া অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল হাসান খান রাসেলকে কেন্দ্র থেকে শোকজ করা হয়েছে। যার কাছে রাসেল চাঁদা চেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে তিনি নিজেও জানেন না। এমনকি থানায় অভিযোগপত্রটিও ভুয়া।

জানা গেছে, গত ১৯শে জানুয়ারি রাসেলের চাঁদা দাবির ঘটনা উল্লেখ করে ভালুকা থানায় অভিযোগ করেন মোশাররফ হোসেন বাহার নামে এক ব্যক্তি। অথচ অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর মোবাইলফোন নম্বর ও এনআইডি নম্বর উল্লেখ নেই। এমনকি কোনো তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম বা নম্বর দেওয়া নেই। এক সপ্তাহের আগে থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো তদন্তকারী কর্মকর্তা রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এমনকি অভিযোগে নাসির ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লি.-এর নাম এবং ইঞ্জিনিয়ারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সে বিষয়ে ওই কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার জানেন না। অথচ এই ভুয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫শে জানুয়ারি রাসেলকে শোকজ করা হয় কেন্দ্র থেকে।  

চাঁদা দাবির অভিযোগটি ভুয়া দাবি করে ভালুকা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল হাসান খান রাসেল বলেন, ভরাডোবা গ্রামের মৃত হোসেন সরকারের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন বাহার (৫০) ও মো. মোস্তাফিজ (৪৫) সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তারা দীর্ঘদিন ধরেই আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছেন। গত ২১শে জানুয়ারি আমি তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছি।

রকিবুল হাসান খান রাসেল আরও বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। থানায় যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, এটা ভুয়া। আমার সঙ্গে থানা থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা যোগাযোগ করেনি। কেন্দ্র থেকে পাঠানো শোকজের জবাবও দেব।

নাসির ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার আরাফাত এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কে আমি পুরোপুরি অবগত নই। অভিযোগে সম্পর্কে আমি শুনছি কিন্তু থানা থেকে আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। এছাড়া চাঁদা চাওয়ার বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কেউ চাঁদা চায়নি।

রাসেলের সঙ্গে বাহারের কথোপকথনের একটি অডিও প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। অডিওতে শোনা যায়, অভিযোগকারী বাহার বলছেন, এই অভিযোগ তিনি করেননি এবং চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামছুল হুদা খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, যে কেউ অভিযোগ বা জিডি করতে পারেন। জিডিতে অবশ্যই নম্বর থাকবে। অভিযোগ তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থকে। ওই (২০ জানুয়ারি) তারিখে যদি কেউ অভিযোগ করে থাকে তাহলে ফাইল দেখে বলতে পারবো। আসলে এখানে রাজনৈতিক বিষয় আছে, এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো।

রাসেলকে শোকজের বিষয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শোকজ করেছি। এখন তদন্তে যদি অভিযোগ ভুয়া প্রমাণিত হয় তাহলে তা প্রত্যাহার করা হবে।