রাত পেরোলেই বিশ্ব ইজতেমা, মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত ময়দান
তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি)। এজন্য টঙ্গীর তুরাগ তীরে ১৬০ একর ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মুসল্লিদের সমাগমে মুখরিত ময়দান। আগামীকাল ফজর নামাজ শেষে আমবয়ানে ইজতেমার মূল পর্ব শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আজ থেকেই আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে থেমে থেমে বয়ান করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ময়দানজুড়ে সিসি ক্যামেরা, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, গোয়েন্দা নজরদারিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে সরজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত বাস ও ট্রাক দিয়ে ইজতেমা ময়দানে আসছেন মুসল্লিরা। প্রায় সবার কাঁধেই বড় বড় ব্যাগ। মুসল্লিদের চাপে প্রতিটি প্রবেশপথেই জটলা সৃষ্টি হয়েছে। ময়দানে ঢুকে নিজ জেলার জন্য নির্ধারিত স্থানে জড়ো হচ্ছেন তারা। ইজতেমা শুরুর সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের ভিড় বাড়তে থাকবে, কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাবে পুরো ময়দান।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার সকাল থেকেই মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়েছে। তবে গত রাত থেকে মুসল্লিদের ভিড় বাড়তে থাকে।
আয়োজকরা জানান, তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম, যারা মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত, তারাই এবার দুই ধাপে ইজতেমার আয়োজন করছেন। প্রথম ধাপে আগামীকাল শুক্রবার থেকে রাজধানীর একাংশ এবং ৪২ জেলার শুরায়ে নেজামের অনুসারী মুসল্লিরা যোগ দেবেন। আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্ব শেষ হবে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি)। পরদিন থেকে শুরু হবে শুরায়ে নেজামের অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। এই ধাপে অংশ নেবেন ঢাকার একাংশসহ ২২ জেলার মুসল্লিরা, যা ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, এবার ইজতেমা ময়দানে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা অন্য বছরে তুলনায় কঠোর করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে বাহিনীর সদস্যরা পোশাকে, সাদা পোশাকে থাকার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ময়দানজুড়ে সিসি ক্যামেরা, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।