যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার শুনানি শেষে ওই আদেশ দেন। মামলার অপর আসামি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধেও একই আদেশ হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) মাহফুজ হাসান বলেন, অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে আসামিরা হাজির ছিলেন না। তারা অসুস্থ বলে সময়ের আবেদন করা হয়। এ মামলায় ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর মাদক আইনে দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক আ. হালিম। এছাড়া, ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারাধীন অস্ত্র আইনের মামলায় এ বছরের গত ১৬ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। শুনানিতে হাজির না থাকায় বিচারক সম্রাটের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) জারি করেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।