জুমার জামাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানে লাখো মুসল্লির ঢল
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদীর পাড়ে বিশাল ময়দানে চলছে তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজামের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইতোমধ্যে ৭৩ দেশের অন্তত ২ হাজর ২০০ বিদেশি মেহমানসহ ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়েছেন লাখো মুসল্লি। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ইজতেমার মাঠে জুমার নামাজের সবচে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জুমার নামাজে ইজতেমায় অবস্থানরত তাবলিগের মুসল্লিরা ছাড়াও ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে বিপুল মুসল্লি অংশ নেবেন। এ উপলক্ষে ১৪টি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শুরায়ে নেজামের শীর্ষ পর্যায়ের মুরুব্বি মাহফুজুল হান্নান বলেন, আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমায় বয়ান শুরু হয়েছে। এবার দুই ধাপে ইজতেমা করায় মুসল্লিদের সুবিধা হয়েছে। রাস্তাঘাটে চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৭৩টি দেশ থেকে অন্তত ২ হাজার ২০০ বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন। আরও বিদেশি মেহমান আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকেই বয়ান চলছে। শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক। তার বয়ান অনুবাদ করেন মাওলানা নুরুর রহমান। সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল শুরু হয়।
তালিমের বয়ান সূচিতে বলা হয়, বয়ানের মিম্বারে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ফারাহিম। ছাত্রদের সঙ্গে নামাজের মিম্বারে বয়ান করবেন ভারতের অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। খাওয়াছদের (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ) মাঝে টিনশেড মসজিদে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আকবর শরিফ। বাদ জুমা বয়ান করবেন জর্ডানের শেখ উমর খাতিব। বাদ আসর বয়ান করবেন মাওলানা জুবায়ের। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমেদ লাট।
এদিকে দুপুর দেড়টায় অনুষ্ঠিতব্য বৃহত্তম জুমার নামাজে ইমামতি করবেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের। সকাল থেকে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকা থেকে বহু মুসল্লি নামাজ আদায় করতে দলে দলে আসতে শুরু করেন। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় বাহিনীর পোশাক ও সাদা পোশাকে নজরদারি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য।