মুন্সীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ সেই অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান প্রসব
দুই পক্ষের সংঘের্ষ নিহত হওয়ার জেরে মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনা তীরের গ্রামে গুলিবিদ্ধ সেই অন্তঃসত্ত্বা নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের শ্রীপল্লী এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে তিনি পুত্র সন্তান জন্ম দেন গুলিবিদ্ধ নারী পিংকি আক্তার (২০)।
আজ সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা সদরের মেঘনা তীরবর্তী কালীরচর গ্রামে প্রতিপক্ষ জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরের লোকজন গুলি করে এই নারীকে।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে প্রতিপক্ষ ডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরের ভাই শাহীন বেপারীর নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ দল কালীরচর গ্রামের রাজু সরকারের বাড়িতে সকালে হামলা চালায়। এ সময় রাজুর বোন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পিংকিকে সামনে পেয়ে গুলি ছুড়ে। এ সময় তিনি উড়ুতে গুলিবিদ্ধ হন।
পিংকির ভাই রাজু ডাকাত কিবরিয়া মিজির সহযোগী। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পিংকি আক্তার বলেন, কানা জহিরের লোকজন আমার ভাইকে না পেয়ে আমাকেই গুলি করে চলে যায়।
শ্রীপল্লী এলাকার নুরজাহান ক্লিনিকের গাইনি চিকিৎসক রুনা আক্তার দোলা জানান, গুলিবিদ্ধ নারীর পেটের ভেতর বাচ্চা নড়াচড়া করছিল না। পায়েও প্রচণ্ড ব্যথা ছিল তার। এ কারণে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ক্লিনিকে এনে সিজার করা হয়। তিনি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন।
পিংকি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কালীরচর গ্রামের অদূরে মেঘনা নদীতে ডাকাত কানা জহির ও কিবরিয়া মিজির পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হন।