নতুন দল গঠনে মদদ জোগানো অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয় : সাইফুল হক
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/01/saiful_haque_1.jpg)
নতুন দল গঠনে মদদ জোগানো অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিপ্লবী যুব সংহতির কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাইফুল হক বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দল ও জনগণের বিপুল সমর্থনকে কাজে লাগাতে পারছে না সরকার। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের পর দিনবদলের স্বপ্ন ক্রমান্বয়ে ফিকে হতে শুরু করেছে। প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতাতার অভাবে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের বিপুল সম্ভাবনা অনেকটাই মাঠে মারা যাচ্ছে।’
সাইফুল হক আরও বলেন, সরকারের কার্যকারিতায় ঘাটতি থাকায় নারীর অধিকার ও মর্যাদাবিরোধী সংগঠিত নানা তৎপরতা বেড়ে চলেছে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও বাধা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসবের পেছনে কোনো রাজনৈতিক মদদ রয়েছে কিনা তা বের করা দরকার। তিনি এসব অপতৎপরতায় যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্র-তরুণদের স্বাধীনভাবেই রাজনৈতিক দল করার সুযোগ রয়েছে। ছাত্র-তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে মদদ জোগানো অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। এটা করতে গেলে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন সংকটে পড়বে, তেমনি ছাত্রদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সম্ভাবনাও হোঁচট খাবে।
সাইফুল হক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্ক ও বিভাজন এড়াতে তাদের নিরপেক্ষ চরিত্র বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রাখা দরকার এবং সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণে নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে। বিশেষ কারও পক্ষাবলম্বনে তাদের পথ হারাবার বা বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
সাইফুল হক আরও বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান শোষণহীন সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে। তরুণ যুবাদেরকে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। এজন্য তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি পরিবর্তনের এই অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যুব প্রাণ জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিপ্লবী যুব সংহতির আহ্বায়ক বাবর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য দেন—সংগঠনের সদস্য সচিব মীর রেজাউল আলম, জামিলুর রহমান ডালিম, বাবর চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, রাজেশ খান, সাফায়েত কামাল দিব্য, সাজ্জাদুল করিম আলভী, নূরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সুমন, সুজন শেখসহ অন্যান্যরা।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন—বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর নেতা মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, আবুল কালাম আজাদ ও জামাল সিকদার। সভায় সংগঠনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।