কোটালীপাড়ায় কবরস্থান থেকে তিন মরদেহ চুরির অভিযোগ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় একটি কবরস্থান থেকে তিন মরদেহ চুরির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের পশ্চিম চিত্রাপাড়া কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার ভোরে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কবরস্থানে দাফনকৃত ব্যক্তিদের স্বজন ও এলাকাবাসী কবরস্থানে ছুটে আসেন। স্বজনদের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম চিত্রাপাড়া কবরস্থানে ছয়টি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরমধ্যে চিত্রাপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলী, চাঁদ মিয়া ও বায়জিদ হোসেনের কবরে মরদেহ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এই তিন মরদেহ চুরি হয়েছে।
লিয়াকত আলীর বড় মেয়ে সালমা খানম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা ৯ মাস আগে মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে পশ্চিম চিত্রাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি একজন ইউপি সদস্য ছিলেন। জীবনে তিনি কারও ক্ষতি করেননি। আজ ভোরে খবর পাই, কবরস্থান থেকে বাবার মরদেহ চুরি হয়েছে। তাৎক্ষণিক আমরা এখানে ছুটে এসে দেখতে পাই বাবার কবর খোঁড়া হয়েছে। কবরের পাশেই কাফনের কাপড়, শরীরের চামড়া ও চুল-দাঁড়ি পড়ে আছে। হাড়গুলো চোরেরা নিয়ে গেছে।’
চাঁদ মিয়ার ছেলে মহাসিন ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা চার মাস আগে মারা গেলে এই চিত্রাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আজ সকালে লাশ চুরির খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি আমার বাবার কবর খোঁড়া। কবরের ভেতরে আমার বাবার মরদেহ নেই।’
চিত্রাপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়া বলেন, ‘চিত্রাপাড়া পশ্চিমকান্দি কবরস্থানে আমার বাবা-মাকে দাফন করা হয়েছে। আমি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পড়ে তাদের কবর জিয়ারত করতে আসি। আজ কবরস্থানে ঢুকতেই দেখি একটি কবর খোঁড়া। আশপাশে তাকিয়ে দেখি, একে একে ছয় কবর খোঁড়া। ইতোমধ্যে তিনটি কবরে লাশ নেই। তখনই আমি এলাকাবাসীকে খবর দেই।’
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। যে মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ চুরি হয়েছে, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’