ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে : প্রেস সচিব
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/09/sphikul.jpg)
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যারা ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, আজ ব্যাংক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিংয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেছেন যারা যারা ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদের খুব দ্রুত আইনের আহত আনতে হবে। তারা যেন আইনের আওতার বাইরে না থাকে। যেকোনোভাবে হোক তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা এ কাজ করেছেন তারা মূলত বাংলাদেশের মানুষের টাকা মেরে দিয়েছেন। তাদের যে করে হোক আইনের আওতায় আনতে হবে। মিটিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, এস আলমের বাংলাদেশে যত অ্যাসেট আছে সব অ্যাটাচ করা হয়েছে। নগদের বিরুদ্ধেও কিছু অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। দেশের বাইরে যেসব সম্পদ চলে গেছে সেগুলোর বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, দেশের রিজার্ভ এখন তুলনামূলক সন্তোষজনক, বর্তমান রিজার্ভ আগামী তিনমাসের ক্রয় ক্ষমতা রাখে, তবে আরও ভালো অবস্থায় নিতে গভর্নরকে কাজ করতে বলেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রেস সচিব বলেন, যুক্তরাজ্যের একটা টিম বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেছে। এখন সুইজারল্যান্ডের একটা টিম বাংলাদেশের এসেছে। আমরা ইউএসের সঙ্গে কথা বলছি, আমরা কানাডার সঙ্গে কথা বলছি। বাংলাদেশ থেকে যে টাকাটা চলে গেছে যে করে হোক, সেটা কীভাবে বাংলাদেশে ফেরানো যায়, সে বিষয়ে বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। তিনি বলেছেন, ১২ জন যারা ব্যাংকিং সিস্টেমের লুটপাটে জড়িত, বিদেশে টাকা নিয়ে গেছে, এদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এরা কীভাবে টাকা নিয়েছে সেটা আমরা দেখছি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন, দ্রুত আইনশৃঙ্খলা উন্নতি হবে। যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার’সন্ধ্যা থেকেই কাজ শুরু করবে। আইনশৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণের জন্য সব বাহিনীর সমন্বয়ে একটা সেন্ট্রাল কম্যান্ড সেন্টার আজ সন্ধ্যা থেকে কাজ শুরু করবে। এর ফলে খুব দ্রুত আইনশৃঙ্খলা উন্নতি হবে বলে আশা করছি।
শফিকুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে খাদ্যশস্যের দাম কমছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। খাদ্যশস্যের দাম কমবে প্রত্যাশা করছি। পাঁচ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে অর্থনীতির। আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ কমে আসবে বলে আশা করি। রমজান মাসে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে না।
প্রেস সচিব আরও আরও বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান ইপিজেড নির্মাণের জন্য জমি-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। তাদের হাতে জমির কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কোরিয়ান ব্যাপক বিনিয়োগ আসবে দেশে। পতিত সরকার কোরিয়ান ইপিজেডের জমি দখল করার পাঁয়তারা করছিল বলে বাংলাদেশের পরিবর্তে ভিয়েতনামে তাদের প্রচুর বিনিয়োগ চলে যায়। এখন সব সংকট সমাধান হয়েছে।