মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে না, শমসের মবিনকে পিপির প্রশ্ন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/10/mobin.jpg)
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।
এ দিন ঢাকার সিএমএম আদালতে তাদেরকে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।
শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী বলেন, ‘শমসের মবিন মুক্তিযোদ্ধা। ইতোমধ্যে অনেকদিন রিমান্ড খেঁটেছেন। তিনি অসুস্থ। রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
এ সময় শমসের মবিন চৌধুরী আদালতে বলেন, ‘মাননীয় বিচারক আমি মুক্তিযোদ্ধা।’ এরপরে আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা তাকে জাতীয় বেইমান বলে আখ্যায়িত করেন।
মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে না?—এমন প্রশ্ন করে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘শমসের মবিন চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে কলঙ্কিত করেছেন। তাদের কারণে মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের এখন আর সম্মান দেয় না। শমসের মবিন চৌধুরী পল্টি দিয়ে বিএনপিতে এসে আবার পল্টি মেরে আওয়ামী লীগে যায়। তিনি পল্টিবাজ।’
পিপি আরও বলেন, ‘শমসের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ছিল না। তিনি ছিলেন, আয়নাঘর, ভোটচোরদের পক্ষে। তিনি ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে ভোট করেছেন।
এরপরে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ভোট করা কোনো অন্যায় না।’ এরপরে উপস্থিত আইনজীবীদের তোপের মুখে তিনি কথা বন্ধ করেন। পরে বিচারক চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১৭ অক্টোবর রাজধানীর বনানীর ডিওএইচএসের বাসা থেকে শমসের মবিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।