লস অ্যাঞ্জেলসে অভিবাসী ধরপাকড় অব্যাহত রাখতে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি

লস অ্যাঞ্জেলসে চলমান অভিবাসী ধরপাকড় অভিযান অব্যাহত রাখার অনুমতি দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এই রায়ে একটি ফেডারেল আদালতের নির্দেশ স্থগিত করা হয়, যেখানে বলা হয়েছিল “যৌক্তিক সন্দেহ” ছাড়া কাউকে আটক করা যাবে না। খবর বিবিসির।
৬-৩ ভোটে গৃহীত এই রায়কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, অভিবাসন কর্মকর্তারা শুধুমাত্র জাতিগত চেহারা, ভাষা বা কাজের ধরন বিবেচনায় এনে সন্দেহভাজনদের থামাতে পারবেন, যদিও তা “প্রধান কারণ” হতে পারবে না। কনজারভেটিভ বিচারপতি ব্রেট ক্যাভানাফ লিখেছেন, “জাতিগত চেহারাই যথেষ্ট নয়, তবে এটি অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক একটি বিষয় হতে পারে।”
অন্যদিকে, লিবারেল বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়র কড়া ভিন্নমত পোষণ করে লিখেছেন, “আজকের এই রায় অসংখ্য মানুষকে শুধুমাত্র তাদের চেহারা, উচ্চারণ বা শ্রমিকের কাজ করার কারণে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরানোর ঝুঁকিতে ফেলবে।”
হোয়াইট হাউস এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র ক্যারেন বাস বলেছেন, “আজকের রায় শুধু বিপজ্জনক নয়, এটি মার্কিন স্বাধীনতার মৌলিক ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে।”
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম সতর্ক করে বলেছেন, “ট্রাম্পের ব্যক্তিগত পুলিশ বাহিনী এখন পরিবারগুলোর পেছনে লাগতে স্বাধীনতা পেল।”
লস অ্যাঞ্জেলসে অভিবাসী ধরপাকড় অভিযান শুরু হয় গত জুনে। তখন অভিবাসন কর্মকর্তারা হোম ডিপোসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে মানুষকে আটক করে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হলে ট্রাম্প প্রায় দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭০০ মেরিন মোতায়েন করেন।

ফেডারেল আদালত পরে রায় দেন যে ন্যাশনাল গার্ডের ওই মোতায়েন ছিল অবৈধ। তবে হোয়াইট হাউস পাল্টা অভিযোগ তোলে যে “একজন বিদ্রোহী বিচারক প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাইছেন।”
অভিবাসী অধিকারকর্মীরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কার্যত “বর্ণবাদের বৈধতা দিয়েছে” এবং সারা দেশের জন্য এটি একটি ভয়ংকর নজির হয়ে দাঁড়াবে।