অপারেশন ডেভিল হান্টে আশানুরূপ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/12/sbraassttr_updessttaa_chbi.jpg)
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ যে পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার আশা করেছিলাম সে পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি, তবে আস্তে আস্তে আরও উদ্ধার হবে। তিনি আরও বলেছেন, আন্দোলনকারী আনসার-ভিডিপি সদস্যদের যৌক্তিক দাবিগুলো মানা হবে, অযৌক্তিক দাবি মানা হবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের সফিপুরে আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে আনসার ও ভিডিপির ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪৫তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আনসার-ভিডিপি'র দরবারে যোগদান করে বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বাহিনীর সদস্যরা থানাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের ক্রান্তিকালে সড়ক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে এ বাহিনীর সদস্যরা শতভাগ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করেছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ১৬টি আনসার ব্যাটালিয়ন সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছয় হাজার আনসান ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং ১৩ হাজার হিল আনসার ও হিল ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, কূটনৈতিক মিশন এবং শিল্প-প্রতিষ্ঠানে বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। বর্তমানে ৫১ হাজার ৬৬৭ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি পাঁচ হাজার ৭৫৭টি স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। বাহিনীর ৩৯টি পুরুষ আনসার ব্যাটালিয়ন, ২টি মহিলা আনসার ব্যাটালিয়ন এবং একটি বিশেষ আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভিডিপি সদস্যদের জন্য ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি ও নতুন অবকাঠামো সংযোজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) সহযোগিতায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাহিনীর মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আধুনিক ও যুগোপযোগী নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে, যা তরুণদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে।
যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তির ব্যবহার, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কার্যকর নেতৃত্বের মাধ্যমে বাহিনীর অগ্রযাত্রা আরও সুদৃঢ় হবে এমন আশা প্রকাশ করে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায়, সদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে নীতিমালা ও বিধিমালা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য ভালো কাজের স্বীকৃতির জন্য ১৫৬ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সদস্য-সদস্যাদেরকে আনসার ও ভিডিপির বিভিন্ন পদকে ভূষিত করা হয়। এতে আনসার ভিডিপির বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কর্মচারী, সদস্য-সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।