সেতুতে সড়কবাতি জ্বললেও কাটে না আঁধার
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/12/kustia_pic.jpg)
কুষ্টিয়ায় কুমারখালী-যদুবয়রা সেতুতে সম্প্রতি ২৭টি বৈদ্যুতিক বাতি পুনঃস্থাপন করেছে জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয়। বাকি রয়েছে আরও ৯টি বাতি। তবে নতুন স্থাপন করা সাদা বাতি থেকে পর্যাপ্ত আলো পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ চলাচলকারীদের।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতুতে ৩৬টি বাতির মধ্যে ২৭টিতে সাদা আলোর বাতি জ্বলছে। আলো জ্বলেনি বাকি নয়টিতে। অন্ধকারাচ্ছন্ন সেতুতে আলো জ্বালিয়ে চলাচল করছে মানুষ। কেউ দোকান বসিয়েছেন, কেউবা আবার এসেছেন বিনোদনের জন্য।
চলাচলকারীদের ভাষ্য, আগে সোনালি রঙের আলো জ্বলত। যা অনেকটা দিনের মতো এবং দৃষ্টিনন্দন ছিল। তবে বর্তমানে সাদা আলো জ্বলে। এতে পাওয়ার কম। সেজন্য সেতুতে পর্যাপ্ত আলো পাওয়া যাচ্ছে না। আলো স্বল্পতায় সন্ধার পর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় সেতুটি। চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। কখনও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, কখনও পথচারীরা ছিনতাইয়ের শিকার হয়। এই সুযোগে মাদকসেবীরা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।
সেতুতে আলো স্বল্পতার কারণে নানা দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান কুমারখালী জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য কে এম আর শাহিন। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে সরকারের অর্থ ব্যয় ও জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে। যথা স্থানে যথা কাজ বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
জেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গড়াই নদীর ওপর প্রায় ৮৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের পিসি গার্ডার সেতুটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নেশনটেক ও রানা বিল্ডার্স লিমিটেড। ২০২৩ সালে কাজ শেষে হস্তান্তর করে তারা। ওই বছরের ২৮ জুন সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেতুর ৩৬টি লাইট জ্বালাতে প্রতি মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল গুনতে হয় সরকারকে। বিল বকেয়া থাকায় কয়েক মাস বন্ধ থাকায় বাতিগুলো অকেজো হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি বিল পরিশোধ করে নিজস্ব অর্থায়নে বাতি স্থাপন করা হয়েছে।
নয়টি বাতি অকেজোর কথা স্বীকার করেছেন কুষ্টিয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি ফোনে বলেন, বরাদ্দ না থাকায় নিজস্ব অর্থায়নে বাতি স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১০০ ভাগ না হলেও চলাচলের মতো আলো হয়েছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ পেলে পরিকল্পিত ও উন্নত বাতির ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সঙ্গে আলোচনা করে সোলার প্যানেল স্থাপনসহ বেশি আলোর বাতি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।