কক্সবাজার সীমান্তে চোরাচালান ঠেকাতে কঠোর নজরদারির নির্দেশ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/13/nnnnnn.jpg)
মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের কারণে খাদ্যের সংকটের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে খাদ্যশস্যের চোরাচালান ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবিসহ দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সীমান্তে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ শীর্ষক সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন খাদ্য উপদেষ্টা।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ থেকে কিছুটা চোরাচালান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আগে থেকেই সার ও জ্বালানি তেল চোরাচালানের একটা প্রবণতা এখানে ছিল। তাই নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাতে কোনো অবস্থাতেই চোরাচালান না হয়।’
‘বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুত এবং আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সামনে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চালের যে সংকট তৈরি হয়েছিল, সেটি কেটে যাবে এবং চালের দামও সহনশীল থাকবে। দেশে এ মুহূর্তে ১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুত রয়েছে।’
রমজান মাস ঘিরে যাতে ভোগ্যপণ্যের দাম সহনশীল থাকে সে বিষয়েও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আগামী রমজান মাসে দেশের ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে এক কোটি পরিবারকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হবে উপহার হিসেবে। এসবই হচ্ছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে।
এর আগে জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।