কক্সবাজারে তিন লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ২
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর ফিশারি ঘাটে বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে তিন লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসময় দুই ইয়াবা কারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ও ভোরে টেকনাফের ফিশারি ঘাট ও নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা উদ্ধার ও আটক করা হয়।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ও উখিয়া বিজিবি রোববার রাতে টেকনাফ ফিশারি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ফিশিং ট্রলারে অভিযান চালায়। অভিযানে ট্রলারের নিচের অংশে জালের কুণ্ডুলির ভেতর থেকে ১২টি হলুদ রঙের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এসব প্যাকেটের ভেতরে নীল রঙের মোড়কে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এসময় ট্রলারে থাকা দুই ইয়াবা কারবারিকে আটক করা হয়। আটকরা হলো টেকনাফের মৃত সৈয়দ আমিনের এর ছেলে মো. সাদেক (১৯) ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৭ এর ব্লক-এ এর মৃত কবির আহমেদ এর ছেলে আনাছ (৪০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, ট্রলারের মালিকের নির্দেশে মিয়ানমারের জিঞ্জিরা এলাকা হতে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করে বাংলাদেশের লবণঘাট এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাদের। এর বিনিময়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল।
অপরদিকে রোববার ভোরে গোপন সংবাদ পেয়ে টেকনাফ বিজিবির সদস্যরা টেকনাফের নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপ ও শোয়ার দ্বীপের মধ্যবর্তী বাংলাদেশের জলসীমায় অবস্থান নেয়। এসময় মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে তিন পাচারকারী ইয়াবার চালান নিয়ে সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবির সদস্যরা ধাওয়া করলে তিন পাচারকারী ইয়াবাগুলো সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে যায়। পরে বিজিবি তাদের ভাসিয়ে দেওয়া ইয়াবার বস্তা উদ্ধার করে। এতে দুই লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
বিজিবি জানিয়েছে, পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলো—হ্নীলার জাদিমোড়া এলাকার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে আব্দুর রহিম বাদশা (৪২), দমদমিয়া এলাকার নুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ আয়াজ ওরফে রুবেল (২৬) ও একই এলাকার ইসমাইলের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫)।