শার্শায় বিএনপিনেতার পদ স্থগিত

যশোরের শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আওতার ১৫৫ বস্তা চাল লুটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস এবং তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রুহুল কুদ্দুসের পদ স্থগিত করেছে যশোর জেলা বিএনপি।
গতকাল বুধবার বিকেলে রুহুল কুদ্দুস এবং তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন কায়বা ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার শাহজাহান কবির। তিনি বলেন, বুধবার সকালে বাগআঁচড়া খাদ্যগুদাম থেকে চাল লোড করে কয়েকটি ট্রলি নিজের ডিলার পয়েন্টের উদ্দেশে পাঠান হয়। পথে বাগ-আঁচড়া বকুলতলায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালু একটি ট্রলি দাঁড় করিয়ে চালককে জিম্মি করেন। এ সময় ১৫৫ বস্তা চাল নিজের গোডাউনে নামিয়ে নেন। পরে এ বিষয়ে কুদ্দুসকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন। খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা বকুলতলায় কুদ্দুস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখেন, চালবোঝাই ট্রলি আটকে রাখা হয়েছে।
এ সময় কেন চাল বোঝাই ট্রলি আটকে রেখেছেন জানতে চাইলে কালু বলেন, তিনি ডিলারের কাছে টাকা পাবেন তাই আটকে রেখেছেন।
বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কোনো চাল লুট করিনি। আমার ভাই ডিলারের কাছে টাকা পাবে বলে ট্রলি আটকে রেখেছিল। পরে ছেড়ে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। শার্শার ওসিকে চালগুলো উদ্ধারের জন্য বলেছি।’
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, ইউএনও চাল উদ্ধার করতে বলার পরপরই জানতে পেরেছি, ট্রলিগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, চাল লুটের অভিযোগ ওঠার পর রুহুল কুদ্দুসের দলীয় পদ স্থগিত করেছে যশোর জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।