১৬ বছর পর আজ যশোরে বিএনপির সম্মেলন, বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান

দীর্ঘ ১৬ বছর পর যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)। সম্মেলন ঘিরে উজ্জীবিত দলটির নেতাকর্মীরা। জেলাজুড়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইতোমধ্যে কাউন্সিলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কাউন্সিল উপলক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মো. ইসহাককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
মো. ইসহাক বলেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক—তিনটি পদে আটজন প্রার্থী হয়েছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কেবল দেলোয়ার হোসেন খোকন প্রার্থী হওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। সভাপতি পদে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যশোর নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম ও যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন—মুনীর আহম্মদ সিদ্দিকী বাচ্চু, শহিদুল বারী রবু, কাজী আজম ও ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম।
দলের প্রতিটি উপজেলা ও পৌর কমিটির মোট এক হাজার ৬১৬ জন নেতা ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্মেলনের প্রথম অধিবেশ যশোর ইদগাহ মাঠে এবং নেতৃত্ব নির্বাচন যশোর টাউন হল ময়দানের আলমগীর সিদ্দিকী হলে অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি স্থানকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সজ্জিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্মেলন উপলক্ষে শহরজুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির নেতারা জানান, ২০০৯ সালে জেলা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে কমিটি গঠনের ১০ বছর পর ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল জেলা কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও গত ছয় বছরেও তা সম্ভব হয়নি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি করতে হয়। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি করতে গেলে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের গুন্ডাদের হামলা, মামলা, নির্যাতনে দলীয় কোনো কার্যক্রমই ঠিকমতো করা যায়নি। ৫ আগস্টের পর নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো পুনর্গঠন করে। এরপরই জেলা সম্মেলনের এই আয়োজন করা হয়।