‘সার্টিফিকেটসহ সব পুড়ে ছাই, কিছুই বাঁচাতে পারিনি’

পটুয়াখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি বসতঘর ও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোর রাত পৌনে ৫টার দিকে শহরের জুবিলী স্কুল সড়কের মনোসা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন অনেকে। এদের মধ্যে একজন বাবুল চন্দ্র শীল। তার ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বাবুল চন্দ্র শীলের মেয়ে অর্পিতা রানী শীল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার সার্টিফিকেট (সনদ) থেকে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, কিছুই বাঁচাতে পারিনি, এই আগুন আমাদের সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। আমাদের স্বপ্ন, আশ্রয়—সব কিছু ছাই হয়ে গেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সুজন কুমার দাস বলেন, ‘এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আগে কখনও দেখিনি। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত না এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও ভয়াবহ হতো।’
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অন্যরা হলেন- জয়ন্তু রায় (৩০), নির্মল কর্মকার (৬০), রিপন কর্মকার (৪৬), ধিমান কর্মকার (৫১) ও বিকাশ চন্দ্র দাস (৪৫)। এছাড়াও ‘নিকুঞ্জ সোনা ঘর’ ও ‘শ্যামল আর্ট’ নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মোস্তফা মোহসীন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সদর থানা পুলিশ, আনসার ভিডিপি, রেড ক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেন। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কোথা থেকে ঘটল তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে।