আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ডিএমপিতে বেশি হচ্ছে মোবাইলফোন ছিনতাই যাকে আমরা ‘স্ট্রিট পেটি ক্রাইম’ বলি। রাজধানীতে মুঠোফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি। এই অপরাধ করাটা কিন্তু সবচেয়ে সহজ। এর চেয়ে সহজভাবে কোনো অপরাধ করা যায় না।
আজ শনিবার (৮ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলেন ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
আপনি (কমিশনার) একটু আগে বললেন, অন্যান্য দেশের অপরাধ চিত্রের তুলনায় আমাদের পরিস্থিতি ভালো। আপনি এমন সময় কথাটি বললেন, যখন রাতে মানুষ তার মুঠোফোনটি নিয়েও বাইরে যেতে ভয় পায়। একবাক্যে বলবেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট কিনা। জবাবে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, হ্যাঁ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তো ভালো। মুঠোফোন ছিনতাইয়ের কাজটা যারা করছে, তাদের অধিকাংশের বয়স ১৫ থেকে ২০-২২ বছর পর্যন্ত। ওরা মোবাইলফোনটা দিয়ে দৌড় দেয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইদানিং কিছু স্ট্রিট অপরাধ হচ্ছে। ৮০-৯০ ভাগ ক্ষেত্রে সেটি করে উঠতি বয়সের ছেলেরা। আমরা যাদের কিশোর গ্যাং বলি। বাস, প্রাইভেটকার, মোটরবাইকের যাত্রী হয়তো মনোনিবেশ করেন কথায়, তখন পেছন থেকে এসে মোবাইলফোনটা টান দিয়ে দৌড় দেয়। এমন কিছু স্ট্রিট ক্রাইম হচ্ছে। ঢাকায় ছিনতাইকারীরা এমন মোবাইলফোনও টান দেয় যার দাম লাখ টাকা। অফিসিয়াল ফোন হলে আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করি।
মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ঢাকা একটি মেগাসিটি এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ মেগাসিটি। এ শহরে নানাবিধ সমস্যা আছে। সেই কথাটি আমি বলতে চাই না। ইদানিং ঢাকা মহানগরীতে বড় ধরনের অপরাধ (খুন-ডাকাতি) খুবই কম।
বিগত বছরের পরিসংখ্যান তুলনায় শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পরিসংখ্যান দেখেন—বা অন্য দেশের বড় বড় শহরের অপরাধচিত্রের সঙ্গে একটি তুলনামূলক চিত্র দেখেন। দেখবেন সেই চিত্রে ঢাকা শহরে অপরাধের সংখ্যা কম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি বলেছিলাম আমার থানায় ৫০০ মামলা হলে দায় দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারের। আপনারা কোনো মামলা নিতে না করবেন না বা গড়িমসি করবেন না। আমার জানা মতে, এখন মামলা রিফিউজড করি না, ঘটনার সত্যতা থাকলে আমরা মামলা গ্রহণ করি।