ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার আরও ৮ : ডিএমপি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি (২৫), মেহেদী হাসান (২৫), নাহিদ হাসান পাপেল (২১), মো. রিপন (২০), মো. সোহাগ (৩৩), মো. রবিন (১৮), মো. হৃদয় ইসলাম (২৪) ও সুজন সরকার (২৭)।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৩ মে রাত পৌনে ১২ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মমভাবে খুন হন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনা সংঘটনের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, আসামি গ্রেপ্তার ও আলামত উদ্ধারের নিমিত্ত তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করে এবং ঘটনার রাতেই তিনজনকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত ১৩ মে ঘটনার রাতেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। তারা হলেন-তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও পলাশ সর্দার (৩০)। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
নিবিড় তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। তদন্তভার প্রাপ্তির পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ইতঃপূর্বে গ্রেপ্তার তিনজনের কাছে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে। ডিবির একাধিক দল গত কয়েকদিনে কক্সবাজার, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে আটজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের ইতোমধ্যে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তন্মধ্যে দুজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে ডিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।