নীলফামারীতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রলোভনে বাড়ছে তামাক চাষ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন কোম্পানির প্রলোভনে দিন দিন বেড়েই চলছে তামাকের চাষ। লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলায় চাষিদের তামাক চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে মাগুরা ইউনিয়নে গিয়ে এর সত্যতা পায়া গেছে।
তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ক্ষেত্রে আইনি বাধা থাকলেও লাভজনক হওয়ায় ফসলি জমিতে নতুন করে তামাক চাষ যুক্ত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ২০৫ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে মাগুরা, গাড়াগ্রাম, রণচণ্ডী, বড়ভিটা ও চাঁদখানা ইউনিয়নে তামাক চাষ হয়েছে। মাগুরা ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে অপেক্ষাকৃত বেশি জমিতে তামাক চাষ হয়েছে।
মাগুরা ইউনিয়নের চাষি কাদের মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তামাক কোম্পানির লোকেরা তাঁকে তামাক চাষের জন্য আগাম বীজ, সার ও নগদ টাকাসহ অন্যান্য উপকরণ দিয়েছে। লাভজনক মূল্যে তামাক কেনার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তিনি চার বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছেন। আশা করছেন এবার লাভ বেশি হবে।
একই ইউনিয়নের রুবেল ইসলাম ৩৩ শতক জমিতে তামাক চাষ করেছেন। অন্য ফসল চাষ না করে তামাক কেন চাষ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য ফসলে খরচ হয় বেশি। তামাকে খরচ কম লাভ বেশি। তামাক কাটার পর ওই জমিতে ইরি ধান লাগাব।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বিএসরা তামাক চাষের ক্ষতিকর দিকগুলো অবহিত করে তামাক চাষ থেকে বিরত রাখতে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে তামাকজাতপণ্য উৎপাদনকারী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মাঠপর্যায়ের প্রতিনিধিরা চাষিদেরকে আগাম বীজ, সার ও অন্যান্য উপকরণসহ নগদ অর্থ দিয়ে এবং আবাদকৃত তামাক অধিক লাভজনক মূল্যে ক্রয়ের নিশ্চয়তা দেওয়ায় চাষিরা তামাক চাষ থেকে সরে আসছে না। এর পরও আমরা তামাক চাষ থেকে চাষিদের বিমুখ করার জন্য উচ্চমূল্যের লাভজনক ফসল চাষের পরামর্শ দিয়ে আসছি। তবে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।