পাচারকৃত অর্থের কিছু অংশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব : অর্থ উপদেষ্টা

চলতি বছরের মধ্যে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পাচারকৃত অর্থের কিছু অংশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করবো। এই জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করব।
বিদেশ থেকে পাচার হওয়া সমস্ত অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি-না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার এই বিষয়ে চেষ্টা করছে, তবে সামগ্রিক পরিমাণ বিশাল। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশে রয়েছে এবং পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কিছু আইনি প্রক্রিয়াও জড়িত। এই বিষয়ে আপনারা আগামী মাসে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি কিছু বলতে পারবে।
এদিকে গত সোমবার (১০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
বৈঠক সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, বিদেশে পাচার করা টাকা দেশের মানুষের টাকা। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকা ফেরত আনার নির্দেশনা দিয়েছেন।
শফিকুল আলম আরও বলেছেন, পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রতি মাসে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে প্রধান উপদেষ্টা ঈদুল ফিতরের পর আরেকটি সভা আহ্বান করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং যেকোনো মূল্যে এটি ফেরত আনতে হবে।