বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে যে নতুন পার্টির আবির্ভাব হয়েছে, তাদের মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে যারা শেখ হাসিনার সাথে কবরে যেতে চেয়েছেন তারা কেউ ১৫ কোটি দিয়েছেন, কেউ গাড়ি দিয়েছেন, কেউ হেলিকপ্টার দিয়েছেন- কেউ তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা দিচ্ছেন।

বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই কারা শেখ হাসিনার সাথে কবরে যেতে চেয়েছেন, কত টাকা শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন, কত টাকা নতুন কিংস পার্টির জন্য দিচ্ছেন? কত টাকা বিএনপিকে প্রতিরোধ করার জন্য খরচ করছেন? আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন আপনারা এগুলো মিডিয়ায় প্রকাশ করবেন। আপনারা কেন এই কথাগুলো মানুষের সামনে আনছেন না। কাদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনারা? মিডিয়া হাউজগুলো কারা নিয়ন্ত্রণ করে?

কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুলু এসব কথা বলেন।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে যারা নতুন পার্টি করেছে বাংলাদেশের এমন কোনো জেলা নেই যে জেলার এক্সইএন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সেক্রেটারি থেকে শুরু করে সরকারে এমন কোনো মন্ত্রণালয় নেই যেখানে তারা তদবির করে না। তাদের কথা তো আপনারা লেখেন না! তাদের কথা তো আসছে না। আমাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে তাদের কথাগুলো আসতে হবে।

বুলু আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন একটি দল লিখে দিয়েছেন আপনি যদি জামায়াত ইসলাম করেন আপনি বেহেশতে যাবেন। এটা শিরক। একজন মুসলমান হিসেবে কেন আপনাদের মিডিয়ায় এলো না। একজন মুসলমান হিসেবে যে এর চাইতে বড় অপরাধ হতে পারে না- এটা কেন মিডিয়ায় এলো না। আপনারা কেন এসব ছাপছেন না। আপনারা শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে, এগুলোই ছেপে দেন। আমি সুস্পষ্ট বলতে চাই- আপনারা ওই ব্যক্তিগুলোর নাম প্রকাশ করেন যারা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য ৭ দিন আগেও হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। কারা তার সাথে কবর পর্যন্ত যেতে চাইলেন, এই লিস্টটা প্রকাশ করেন।

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইঁয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াছিম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাদুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ কুমিল্লা-চাদঁপুর-নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।