চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালংকার লুট, দুইজনকে গণপিটুনি

মাদারীপুরে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুইজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে, অসুস্থ গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (১৬ মার্চ) ভোরে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ জানায়, সপ্তাহখানেক আগে সদরের পশ্চিম রঘুরামপুর গ্রামের মৃত মমেন উদ্দিন ফকিরের ছেলে গোলাম রহমান ফকিরের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজে আসেন কয়েকজন শ্রমিক। শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারের খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয় শ্রমিকরা। খাবার খেয়ে বাড়ির লোকজন অচেতন হয়ে পড়েন। এই সুযোগে রোববার ভোরে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। সাহরি শেষে নামাজ পড়তে বের হয়ে গোলাম রহমান ফকিরের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান স্থানীয়রা। সন্দেহ হলে ভেতরে ঢুকে বাড়ির গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে বাড়ির রাজমিস্ত্রিদের না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়।
একপর্যায়ে মোটরসাইকেল নিয়ে তল্লাশি করে স্থানীয়রা। পরে ইজিবাইকে থাকা অবস্থায় ধাওয়া দিয়ে পাশের হাজামকান্দি এলাকায় ছদ্মবেশী রাজমিস্ত্রিদের মধ্যে দুজনকে দেখতে পেয়ে তাদের গতিরোধ করেন স্থানীয়রা। এ সময় তাদের গণপিটুনি দেওয়া হয়। আটক করা হয় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাসানপুর গ্রামের আক্কাস খাঁর ছেলে আমিন খাঁ (২৫) ও দিঘলিয়া এলাকার রুবেল মিয়াকে (৩৫)। পরে থানায় খবর দিলে আটকদের কাছ থেকে লুট হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করে পুলিশ। পরে গণপিটুনির শিকার আহত দুইজন ও গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে ভর্তি করা হয় মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে।
গোলাম রহমান ফকিরের মেয়ে তানিয়া আফরোজ বলেন, এরা মুখোশধারী ডাকাত। এদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, গণপিটুনিতে আহত দুইজনসহ চারজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান জানান, লুট হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আটক দুইজন পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি আছে।