বাংলালিংকের নতুন সিইও ইওহান বুসে

বাংলাদেশের বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার-সিইও) হিসেবে ইওহান বুসেকে নিয়োগ দিয়েছে বৈশ্বিক ডিজিটাল অপারেটর ভিওন। আজ সোমবার (১৭ মার্চ) নিয়োগের এই ঘোষণা দেয় ভিওন। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বাংলালিংকে যোগদানের আগে ইওহান সিঙ্গাপুরের স্টারহাবে কৌশল ও ব্যবসায়িক রূপান্তর বিষয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে টেলিকম খাতে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে তিনি ওরেদো ওমানের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার এবং ডয়েশ্চ টেলিকম ক্রোয়েশিয়া, এক্সিস ও সিংটেলের উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন।
বাংলালিংকে কৃতিত্বের সঙ্গে ৯ বছর দায়িত্ব পালন করা এরিক অসের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ইওহান।
এই নিয়োগের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ভিওন গ্রুপের সিইও কান তেরজিওগ্লো বলেন, ‘প্রথমেই আমি ইওহানকে ভিওন ও বাংলালিংকে স্বাগত জানাচ্ছি। বেশকিছু উদীয়মান বাজারে তার কয়েক দশকের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা আমাদের ডিজিটাল সম্প্রসারণকে ত্বরান্বিত করবে; একইসঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। গত ৯ বছরের অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য আমি এরিক অসের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তার সময়েই বাংলালিংক দেশজুড়ে বিস্তার লাভ করেছে; সবার জন্য ফোরজি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করেছে এবং এই খাতে টফি, মাইবিএল ও রাইজের মতো ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে এসেছে।’
এ বিষয়ে বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, ‘৯ বছর ধরে বাংলালিংকের অনবদ্য এই টিমকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং একইসঙ্গে ভিওনের উদ্ভাবনী মূল্যবোধ ‘ফোরজি ফর অল’-এর প্রতি গুরুত্বারোপ করে লাখো বাংলাদেশির জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে পারা সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। অত্যন্ত যোগ্য ইওহান বুসের অধীনে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। বাংলাদেশে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বমানের টিমের সহযোগিতায় বাংলালিংককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন বলে আশাবাদী আমি।’
এ বিষয়ে ইওহান বুসে বলেন, ‘গ্রাহককেন্দ্রিক মূল্যবোধ তৈরির সম্ভাবনাময় এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলালিংকের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো গৌরব এবং এরিকের কাছ থেকে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে পেরে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি, মানুষকে কানেক্টিভিটি ও ডিজিটাল সেবা দেওয়া আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমাদের সামনে অনন্য সুযোগ এসেছে, যেখানে ভিওনের ডিজিটাল দক্ষতা ও বাংলালিংকের বিশ্বমানের টিমের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বিভাজন দূর করে উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করা এবং লাখো বাংলাদেশির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এমন সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। আমাদের টিম ও গ্রাহকদের জন্য এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমি।’