নাগরিকের আঙ্গুলের ইশারায় সরকার তাৎক্ষণিক সেবা নিয়ে হাজির হবে : ড. ইউনূস

আমরা এমনভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করার কাজে নিয়োজিত হয়েছি যে, নাগরিকের আঙ্গুলের ইশারায় সরকার তার সেবা নাগরিকের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে হাজির করবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় স্বাধীনতা দিবস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, এখনকার যুগ হলো প্রযুক্তির যুগ। সৃজনশীলতার যুগ। আমাদের দেশে ১৭ কোটি নারী-পুরুষ, তার মধ্যে তরুণরা হলো বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। বাংলাদেশ মানব সম্পদের দিক থেকে অষ্টম বৃহত্তম দেশ। একযোগে এ তরুণরা সৃজনশীলতার প্রকাশের সুযোগ পেলে বন্যার স্রোতের মতো আমাদের দেশ দ্রুতবেগে পৃথিবীর বাজারের মধ্যস্থানে চলে যাবে। এই বিপুল তরুণ গোষ্ঠীর সামনে থেকে পথের বাধা সরিয়ে দেয়াই হলো আমাদের সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
দেশে প্রযুক্তিখাতে উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তি আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে। আমরা দ্রুতবেগে এ সুযোগ গ্রহণ করার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছি। এমনভাবে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করার কাজে নিয়োজিত হয়েছি যাতে নাগরিকের আঙ্গুলের ইশারায় সরকার তার সেবা নাগরিকের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে হাজির করে। তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সে-সেবা দিতে চাই প্রযুক্তির মাধ্যমে, সরকারি অফিসের মাধ্যমে নয়।
পাসপোর্ট সেবা নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ইতোমধ্যে পাসপোর্ট পেতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নিয়ম আমরা বাতিল করে দিয়েছি। এর ফলে বর্তমানে নাগরিকরা আগের চেয়ে সহজভাবে পাসপোর্ট সেবা পাচ্ছেন। পুলিশ রিপোর্ট প্রাপ্তির নিয়ম বাতিল করার পর এ পর্যন্ত ৭০ হাজার নতুন পাসপোর্ট, যা বহুকাল ধরে পুলিশ রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় আটকে ছিল, তা দ্রুত আবেদনকারীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজ করার জন্য আমরা পুরানো পদ্ধতি বাতিল করে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট প্রচলন শুরু করেছি । এর ফলে দ্রুত পাসপোর্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে ই-পাসপোর্ট হোম ডেলিভারি দেয়া সম্ভব হচ্ছে। আগামীতে সকলেই ঘরে বসে পাসপোর্ট পাবেন এটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। পাসপোর্ট দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা অত্যন্ত উৎসাহ সহকারে দ্রুত এসব পরিবর্তন আনার ব্যাপারে এগিয়ে আসছেন দেখে মনটা আনন্দে ভরে যায়।