তারেক রহমানের বাসায় পারিবারিক মিলনমেলা

দীর্ঘ প্রায় দশ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধু জুবাইদা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান স্ত্রী শর্মিলা রহমানও খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ করবেন। এছাড়া তিন নাতনি ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাফিয়া রহমান, জাহিয়া রহমান দাদির সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। ফলে তারেক রহমানের বাসা এবারের ঈদে পারিবারিক মিলনমেলা পরিণত হবে।
গত ৭ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি লন্ডন খালেদা জিয়া। ওইদিনই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তারেক রহমানের বাসায় উঠেন তিনি। বর্তমানে ছেলের বাসায় তিনি প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি, জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। ডাক্তারদের পরামর্শে তিনি ঈদের পর দেশে ফিরছেন বলে জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে ম্যাডাম আল্লাহর রহমতে আগের তুলনায় অনেক সুস্থ আছেন। পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, শর্মিলা রহমান ও তিন নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান দাদির যত্ন নিচ্ছেন। পারিবারিক আবহে খুব ভালো সময় কাটাচ্ছেন। সবাই এক সাথে ঈদ উদযাপন করবেন।
এর আগে ২০১৫ সালে তারেক রহমানের বাসায় ঈদুল আজহা উদযাপন করেন বিএনপি প্রধান। এর দুই বছর পর ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, যকৃতের রোগ, হিমোগ্লোবিন, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য বয়সজনিত জটিলতায় ভুগছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ২০১৫ সালের ম্যাডাম লন্ডনে ঈদ উদযাপন করেন। এরপর ২০১৭ সালে তিনি চোখের ডাক্তার দেখাতে লন্ডন যান। এবারের ঈদটা দীর্ঘদিন পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদযাপন করতে পারছেন। এটা অনেক বেশি আনন্দের।
তিনি বলেন, ডাক্তারের নিয়মিত ফলোআপে আছেন ম্যাডাম। বাসায় থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। ডাক্তারের পরামর্শে ঈদের পর তিনি দেশে আসবেন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়া ও তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পান। ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান। সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ওই সময় আরাফাত রহমান প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে থাইল্যান্ড যান। পরবর্তীতে সেখান থেকে তিনি সপরিবারে মালয়েশিয়া চলে যান। সেখানে ২০১৫ সালে ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান মারা যান।