‘প্রধান উপদেষ্টা শুল্ক ইস্যুতে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন’
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই দেশটির প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন। আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে জরুরি বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘাটতি কমানোর প্রচেষ্টা করা হবে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা জ্বালানি, শিল্পখাতসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করি। আর পোশাকসহ চামড়া শিল্প রপ্তানি করে থাকি। যে শুল্ক আরোপ করেছে সেটি কার্যকর হবে ৯ এপ্রিল থেকে। আমাদের হাতে এখনো সময় আছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের যোগাযোগ, তাই আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতেও শুল্ক বেড়েছে, তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক নীতিতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য থাকায় সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি আকস্মিক নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডার নির্বাহী আশিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টা মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার।