স্টার্টআপদের জন্য ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা ইনসেপ্টার

স্টার্টআপদের জন্য ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে ইনসেপ্টা গ্রুপ। আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে ‘নতুন যুগে তহবিল সংগ্রহ : বাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া’ শীর্ষক এক সেমিনারে ইনসেপ্টা গ্রুপের মালিক নাবিলা নওরিন এ ঘোষণা দেন।
বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার আইসিটিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
এ ব্রিফিং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ইনসেপ্টা গ্রুপের এই ফান্ড স্টার্টআপদের জন্য, ইক্যুইটি, গ্র্যান্ড এবং লোন হিসেবে কিংবা যেকোনো ফরমেটে দেওয়া হবে। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এর আগে স্টার্টআপদের জন্য যে ফান্ডগুলো এসেছে তার প্রায় ৭৬ শতাংশ বিদেশি ফান্ড। তাই বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের স্টার্টআপদের ফান্ডিং করার এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি যে পলিসিগুলো নিয়েছে তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক আউট বাউন্ড ফরেন কারেন্সি ট্রানজেকশনের উইন্ডো ওপেন করেছে। এ ছাড়া স্টার্টআপদের দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি কোম্পানির শেয়ার শপিংয়ের বাধা দূর করেছে। অর্থাৎ স্থানীয় উদ্যোক্তারা যদি বিদেশি কোম্পানির শেয়ার অন করেন, তাহলে তারা শেয়ার শপিং করতে পারবেন। এর বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে স্টার্টআপদের জন্য ফান্ড জমা ছিল সেটা লিভারেজ করতে বলেছেন গভর্নর। আগামী সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে অবমুক্ত করে দিবেন। এ ছাড়া এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন কোনো পলিসি অ্যালাউ করা হবে না, যা স্টার্টআপদের ফান্ডিংকে বাধাগ্রস্ত করবে।
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব আরও বলেন, বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবে ইন্টারনেট বন্ধ না হয়। সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাতে আগামীতে কোনো সরকার আর ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার গত জুলাই আন্দোলনে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ফ্রিল্যান্সার ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রেমিট্যান্সে ফ্লো কমেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট লাইনই অবনমন হয়েছে। সেটা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বর্তমান সরকার কখনো ইন্টারনেট বন্ধ করবে না। আগামী কোনো সরকারও যাতে কখনো ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যে বিধানের বলে ইন্টারনেট বন্ধ করা হতো সেগুলো সংশোধন করে আগামী সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হবে। সেখানে এমন বিধান সংযুক্ত করা হবে যাতে কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে। স্টারলিংক রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটা গাইড লাইন করছি, সেখানে ইন্টারনেট যাতে বন্ধ করতে না পারে সে ধরনের বিধান রাখছি।