ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: পেট্রাপোল থেকে ৪ ট্রাক ফেরত পাঠাল ভারত

ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পণ্য নেপাল, ভুটান বা মিয়ানমারে প্রবেশের ক্ষেত্রে দেশটির ঘোষিত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে নয়াদিল্লি। যা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পেট্রাপোল বন্দর থেকে চারটি রেডিমেড গার্মেন্টস বোঝাই ট্রাক ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর থেকে ফেরত যাওয়া পণ্যের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লি.।
ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লি.—এর স্থানীয় ম্যানেজার বসির আহমেদ বলেন, ফেরত পাঠানো ট্রাকে রেডিমেড গার্মেন্টস সামগ্রী ছিল। সব পণ্যই নেপালে পাঠানো হচ্ছিল।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘স্থলবন্দর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা বন্ধের জন্য ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে কাস্টমসে। এ চিঠির আলোকে ট্রানজিট সুবিধার পণ্য বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘ভারত সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে দুই দেশের বাণিজ্য ও বন্ধুত্ব সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হবে। আমরা আশা রাখছি ভারত সরকার তাদের আক্রোশমূলক সিদ্ধান্ত পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখবে।’
সিএন্ডএফ এজেন্ট মলিক সমিতির সহ সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল বলেন, ভারত সরকার ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করায় চারটি রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারত প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এতে রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ।
বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির বলেন, ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস থার্ডকান্ট্রির পণ্যে কার্পাস ইস্যু করেনি। এতে করে ওইসব পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না।
তবে ভারতের অভ্যন্তরে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আসা অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।