চুরির অপবাদে রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে সুরমান আলী (৩৫) নামের এক রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে থানা পাড়ার জিকে বালির ঘাট এলাকা থেকে সুরমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, একই এলাকার হালিম বিক্রেতা হাকিমসহ কয়েকজন মিলে সুরমানকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে। এর পর তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
সুরমানের ভাই সেলিম বলেন, তাদের ছোট ভাই আশরাফুল হালিম বিক্রেতা হাকিমের দোকানে কাজ করত। গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে গহনা ও নগদ টাকা চুরির অভিযোগ এনে তাকে আটকে রেখে বেধড়ক মারপিট করে। পরে তাকে ছাড়াতে গেলে হাকিম বলেন, ‘তোর ছোট ভাই আশরাফুল স্বীকার করেছে তোদের বড় ভাই সুরমান ও আশরাফুল মিলে আমার বাড়ি থেকে গহনা-নগদ টাকা চুরি করেছে। সুরমানকে হাজির কর, তা না হলে সবাইকে মারধর করা হবে।’
সেলিম বলেন, ‘ওইদিন রাতেই আমার ভাই সুরমানকে হাকিমের কাছে নিয়ে গেলে সে রাতভর তার ওপর কয়েকদফা নির্যাতন চালায়। সুরমান ভাই জানায় সে চুরি করেনি। এরপর সেদিন ভোরে আমরা ভাই সুরমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। কিন্তু বুধবার দুপুরে আবার হাকিম তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে সুরমানকে নিয়ে যায় এবং আমাদের সবাইকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর থেকে আমরা আমার ভাইকে কোথাও খুঁজে পাইনি।’
সেলিম আরও অভিযোগ করেন, হাকিম তার ভাইকে আটকে রেখে বৈদ্যুতিক শক, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে এবং পরে মরদেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। তারা ভাই হত্যার বিচার চান। গত রাত থেকে পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত হাকিমের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খাইরুজ্জামান বলেন, নিহত সুরমানের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।