‘ইংরেজি নববর্ষের চেয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন বেশি রঙিন’
‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য র্যালিতে আয়োজিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের এবারের আনন্দ শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের সকালে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ১০টা ২০ মিনিটে চারুকলা অনুষদের সামনেই এসে শেষ হয়।

এবারে শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, কৃষক, রিকশাচালক, নারী ফুটবলার ও ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এছাড়া শোভাযাত্রায় গণমাধ্যমসহ সবার আগ্রহের জায়গায় ছিল বিদেশি পর্যটক। বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা আসেন এবারের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ উপভোগ করতে।
রাশিয়া থেকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বেড়াতে এসে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন ‘নিনা’ নামের এক পর্যটক। তিনি বাংলা নববর্ষের এই আনন্দ দারুণভাবে উপভোগ করেন। এই রাশিয়ান পর্যটক বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উৎসবে এসেছি। আমি দারুণভাবে উপভোগ করছি। খুব ভালো লাগছে এই আয়োজন। এখানকার মানুষগুলো দারুণ। সবাই উজ্জ্বল রঙে রঙিন হয়ে এসেছে। এছাড়া বিভিন্ন সঙ্গীত, যা আমি আগে কখনও শুনিনি। ব্যাপারটা আমার জন্য খুবই ইন্টারেস্টিং।’

জার্মান থেকে বাংলা নববর্ষ দেখতে আসা ক্যাটরিনার কাছে জানতে চাওয়া হয় বাংলা নববর্ষ ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের পার্থক্য নিয়ে। তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বেশি সুন্দর, এখানকার মানুষ নববর্ষকে যেভাবে উদযাপন করে তা আর কোথাও নেই। ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন এতটা রঙিন হয় না। ওখানকার আয়োজন ভিন্ন। কিন্তু বাংলা নববর্ষের আয়োজন অত্যন্ত রঙিন।’
আরেক রাশিয়ান পর্যটক স্রিথলানা বলেন, ‘এটা খুবই সুন্দর, আমার দারুণ লেগেছে। এটা আমার জন্য একদমই নতুন, আমি খুব উপভোগ করছি, আনন্দ করছি।’
গ্রিস থেকে আসা আগোতো থেনোস বলেন, ‘এখানে আমার দারুণ সময় কাটছে। আমি প্রথমবারের মতো আমার কিছু রাশিয়ান বন্ধুর সঙ্গে এখানে এসেছি। এখানকার সংস্কৃতি ও উৎসব আমি খুব উদযাপন করছি।’

আনা নামে আরেক বিদেশি পর্যটক বলেন, ‘এই বাংলা নববর্ষ খুবই রঙিন, এখানকার র্যালিতে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি আমায় মুগ্ধ করেছে। আমি নিউ ইয়ার উদযাপন করেছি বেশ কয়েকবার। এবারই প্রথম নববর্ষতে এলাম। আমার কাছে নিউ ইয়ারের চেয়ে নববর্ষ বেশি আনন্দময় লেগেছে।’
আনা আরও বলেন, ‘আমি একটি ট্যুরিস্ট কোম্পানিতে জব করি। এবার পর্যটকদের সঙ্গে এই উৎসব দেখতে বাংলাদেশে এসেছি। এবারই প্রথম বাংলাদেশে এসেছি আমি।’