তিন নির্বাচনে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

বিগত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এনসিপির পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সে বৈঠকে সিইসির কাছে এ দাবি জানিয়েছে দলটি।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাদের এ দাবির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আশ্বস্ত করেছেন।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশ ও প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোতে নিয়ে গিয়েছিল। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এর দায় নির্বাচন কমিশনেরও। বিগত তিন নির্বাচনগুলোতে যারা প্রার্থী হয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের সঠিক প্রক্রিয়ায় তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কোনো দলের পক্ষে না যেতে পারে।’
নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে অনেক মানুষকে গুম-খুন নির্যাতনের সঙ্গী করা হয়েছিল। আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটা ফ্যাসিস্ট কাঠামোতে রূপান্তর করা হয়েছিল। আর এই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর পেছেনে অন্যতম ভূমিকা ছিল নির্বাচন কমিশনের।’
এনসিপির এই নেতা জানান, ‘মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসি থেকে নির্বাচনের সার্টিফিকেশন দেওয়া, প্রার্থীদের হলফনামা তদন্ত করে তার সত্যতা নিরূপণ করা, নির্বাচনি সহিংসতা রোধে আচরণবিধি ও ব্যয়ের বিধিতে পরিবর্তন আনা, ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বন্ধ করা, হলফনামায় ভুল তথ্য থাকলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ও নির্বাচিত হলেও যেন তারা সংসদে থাকতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য সময় বাড়ানো, রাজনৈতিক দলগুলো যেন অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা করে তা মনিটরিং করার কথা তারা তুলে ধরা হয়েছে।’
এগুলো বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচনে যাওয়া ও ভোটাধিকার প্রয়োগ সম্ভব হবে না বলেও জানান এ মুখ্য সমন্বয়ক। পাটোয়ারী জানান, এ ছাড়া অনেক দলের অফিস নেই অথচ নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তাই প্রত্যেকটা দলকে নতুন করে নবায়ন করা এবং সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করতে তাগিদ দিয়েছি।